Monday, July 9, 2018

Valobasar Gorpo

 মেয়েটি বড়লোক বাবা-মায়ের এক মাত্র মেয়ে! . মেয়েটাকে একটা ছেলে খুব ভালোবাসতো। ছেলেটা মেয়েটিকে অনেক বার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু,মেয়েটা রাজি হয় না, বরং মেয়েটা ছেলেটাকে নানা ভাবে অপমান করতো। কারণ,ছেলেটা দেখতে স্মার্ট ছিল না,তার উপর আবার গরীব ছিল! মেয়েটা কোন দিন ছেলেটার মন বুঝার চেষ্টা করে নি! . তারপর মেয়েটা ওই স্কুল থেকে চলে আসে। . ছয় বছর পর…..... মেয়েটার বিয়েতে মেয়েটা ছেলেটাকে নিমন্ত্রন করে।তারপর মেয়েটা ছেলেটাকে ডেকে বলে, “তোমাকে ভালো না বেসে সব চেয়ে ঠিক কাজটি করেছি। তোমাকে ভালোবাসলে,আজকে ওর মতো একটা স্বামী পেতাম না”! ওর আমাকে দেওয়ার মতন সবই আছে,ওই আমাকে বিয়ে করার যোগ্য। তোমার কি আছে?” এই বলে মেয়েটা বিয়ের পিড়িতে বসতে চলে যাচ্ছিল। তখন ছেলেটা,মেয়েটার পিছন থেকে অশ্রু চোখে ডাক দিয়ে বললো,,, “সত্যিই তো তোমাকে ভালবাসাবো কেন? আমার তো কিছুই নেই….. তুমি ওকে বিয়ে করলে সত্যিই সুখী হবে" এই বলতে-বলতে চোখের পানি মুছতে মুছতে চলে গেলো! . তারপর মেয়েটার বিয়ে হয়ে যায়! দুই বছর পর “ছেলেটা তখনও বিয়ে করেনি। ছেলেটার কাছে হঠাৎ করে খবর আসে মেয়েটা অসুস্থ।তখন রাত ১ টা বাজে,তক্ষণই ছেলেটা চলে যায় হাসপাতালে! আর শোনে মেয়েটার দুইটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে! খুব দ্রুত মেয়েটার জন্য কিডনি প্রয়োজন! . তখন ছেলেটা বললো আমিই ওকে কিডনি দিবো! ডাক্তারবললেন,আপনি তো একটা কিডনি দিতে পারবেন,কিন্তু মেয়েটার তো দুইটা কিডনির প্রয়োজন। ছেলেটা বললো,আমি ওকে দুইটা কিডনিই দেব।ডাক্তার বললো,দুটো কিডনি দিলেতো,আপনি নিজেই মারা যাবেন! তখন ছেলেটা বলে,আমি তো অনেক আগেই মারা গেছি! কোনো সমস্যা নেই,ওকে বাঁচাতেই হবে। কারণ, আমি ওকে ভালোবাসি! . আমি ওর মাঝেই বেচেঁ থাকতে চাই! ছেলেটা তার দুটো কিডনিই দান করে মারা যায়। . কিছু দিন পর মেয়েটা সুস্থ হয়ে ওঠে,তার স্বামীকে জিজ্ঞাসা করে, আচ্ছা,আমাকে কিডনি কে দিয়েছে? তক্ষণ তার স্বামী মাথা নিচু করে বললঃ- “যে ছেলেটি তোমাকে ভালোবাসত,। সেই ছেলেটিই তোমাকে কিডনি দিয়েছে! এই কথা শুনে মেয়েটার চোখ দিয়ে ঝর- ঝর করে পানি পড়তে লাগল! "আর তখন মেয়েটা বুঝতে পারে,ছেলেটা তাকে কতটা ভালোবাসত"। কিন্তু,তখন বুঝে কি লাভ? ছেলেটাই তো আর নেই!

No comments:

Post a Comment