মেয়েটি তখন জানতে পারে যে ছেলেটি তার পিছু ঘুরছে। আর তার রিলেটিভ ফ্রেন্ড ছিল শাহিন(গ্রামবাসি সম্পর্কে ছোট ভাই) তাকে মেয়েটি বলে দেয় যেন তার পিছনে না ঘোরে। কিন্তু ছেলেটি এ কথা শোনার পরেও ঘোরে এজন্যই যে তাকে যে প্রতিদিন না দেখলে তার ভাল লাগে না। তখন ছেলেটি ভাবলো এভাবে তো আর চলবে না মেয়েটির সাথে কথা বলতে হবে। তাই শাহিনকে বললো মেয়েটি যেন তার সাথে দেখা করে। পরের দিন ছেলেটি দেখা করাতে যায়। কিন্তু সেদিন আর কথা হল না।এজন্যই যে ছেলেটির সাহস কম ছিল। আবার পরের দিন ছেলেটি দেখা করার জন্য যায়।প্রথম কোন মেয়েকে ভালবাসার কথা বলবে। দেখা হলো মেয়েটির কিন্তু কি দিয়ে শুরু করবে ভেবে পাচ্ছে না। ছেলেটি সামনে দাঁড়াতে বলল কিন্তু মেয়েটি দাঁড়াল না।সেদিন আর কথা হলো না।পরের দিন আবার দেখা করার জন্য গেল কোন কথা ছাড়াই। মেয়েটির নাম ধরে ডাকল আর দাঁড়াতে বলল মেয়েটিও দাঁড়াল। ভালবাসার কথাটা বলবে বলে কিন্তু মেয়েটির চোখের দিকে তাকাতেই ছেলেটি নিঃস্তব্দ হয়ে যায়। সাঁজানো কথাগুলো যেন সব এলোমেলো হয়ে যায়। ছেলেটি শুধু বলল "আমি যে তোমার পিছনে ঘুরি একি তুমি জানো "মেয়েটি বলল হ্যা।"এসব কি বিরক্ত মনে করো "আবার মেয়েটি উওরে বলল "হ্যা "তখন ছেলেটি বলল "ঠিকআছে চলে যাও"। দু -এক পা হাটতেই মেয়েটি বলল "আর যেন আমার পিছনে না ঘোরা হয়"।ছেলেটি আর কোন কথা বলল না। কারন মেয়েকে ডিস্টাব করা তার একদম পছন্দ না। তখন তার ফ্রেন্ড বলল সাবাস। এ কারনে যে প্রথম কোন মেয়েকে দাঁড়করে কথা বলল ছেলেটি। তখন থেকে ছেলেটি আর নিয়মিত দেখে না মেয়েটিকে। কিন্তু দেখা না হলে কি হবে। ছেলেটির হৃদয়ে জমা কথাগুলো সব সময় মেয়েটিকে মনে করিয়ে দিত আর দিন দিন কস্ট বেড়েই যেত। তখন দুঃখ গুলো মুছতে সে একটি আইডি খোলে। আর তার নাম দেয় "অসমাপ্ত আশা"। সেখানে মেয়েটির নামে অনেক আইডিকে ফ্রেন্ড বানায় সে। সব সময় তার কথা ভাবতো। মেয়েটি মন খুলে হাসতো না কিন্তু ছেলেটিকে দেখা মাএই মেয়েটি মুসকি মুসকি হাসতো। এগুলো ভেবে ভেবে দিন কাটতো ছেলেটির। মেয়েটির কথা ভাবলে আর কোন মেয়েকে তার ভাললাগে না। সামনে তার HSC পরিক্ষা কিন্তু সারাক্ষন মেয়েটিকে নিয়ে চিন্তা করে। আগের মতো আর লেখাপড়া ভাল লাগে না।
গল্পের এখানেই শেষ নয় পরে আরো অবাক করা কাহিনি।ছেলেটি কিছুদিন ইচ্ছে করেই যোগাযোগ রাখতো না। তাকে দেখলে যেন নিরব হয়ে যায় ছেলেটি তার যে কিছুই ভাল লাগে না। কিন্তু ভাগ্য তাকে ঠিকই দেখা করে দিতো। ১৪ ই ফেব্রুআরি মেয়েটিকে লাল পোশাকে দেখে ছেলেটি। লাল পোশাকে হেব্বি দেখাতো মেয়েটিকে। ভালবাসা দিবসে এভাবে দেখা হবে মেয়েটির সেটা কখোনো ভাবেনি ছেলেটি। রাতে মেয়েটিকে নিয়ে কবিতা লিখতো আর তার "অসমাপ্ত আশা"নামের আইডি তে S এর পিক আপলোড দিতো। কারন মেয়েটির নামের প্রথম অক্ষর Sছিল।অনেক কস্ট করে মেয়েটির কয়েকটা ছবি সংগ্রহ করে ছেলেটি। ছবিগুলো যার কাছ থেকে নিয়েছে সেও জানে না। রাতে ছবি গুলো দেখে দেখে ঘুমাতো আর সপ্নেও দেখতো মেয়টিকে। এভাবেই তার দিন কাটতো। আজ তার HSC পরিক্ষা শুরু ছেলেটির বাবা ছেলেটির মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে বলছে "বাবা আমার অনেক কষ্টের টাকা ভাল করে পরিক্ষা দিস। বলতে বলতে ছেলেটির বাবা কেঁদে ফেলে ছেলেটিও তার চোখের পানি ধরে রাখতো পারলো না। প্রথম পরিক্ষাটা তেমন ভাল হয় নি। কারন প্রশ্ন খুব কঠিন হয়েছিল। দ্বিতীয় দিন পরিক্ষা দিতে যেতে মেয়েটির সাথে দেখা হলো ছেলেটির। যতক্ষন দেখা সম্ভব ততক্ষন দেখলো ছেলেটি সাথে মেয়েটিও। আজ পরিক্ষাটা তার ভালই হয়েছে। ১মাস ছয় দিন পর আবার দেখা হলো মেয়েটির। কি মায়াবি চোখে তাকায় মেয়েটি ছেলেটির চোঁখ যেন কিছুতেই সরে না। ছেলেটির মনে হয় সারাক্ষন ওর দিকে চেয়ে থাকি।
এখন পরিক্ষা শেষ হলো ছেলেটির। ছেলেটি ভাবলো যেভাবেই হোক মেয়েটিকে যে বলতেই হবে। মেয়েটির fb আইডি আছে তা ছেলেটি জানতো। কিন্তু ছেলেটির নিজের আইডি বা অন্য ফ্যাক আইডি দিয়ে ad পাঠালে গ্রহন নাও করতে পারে। তার ছোট ভাই এর পিক ছিল ছেলেটির কাছে। আর তার নামেই আইডি খুললো সে যাতে মেয়েটি চিনতে পারে কেননা আগে তাকে চিনতো। মেয়েটির খোজ নেওয়া ছেলেটির খুব দরকার ছিল। তার ফ্রেন্ড সেজে ৬ দিন কথা বলল fbতে কিন্তু আজ আর ভাল লাগছে না মিথ্যা অভিনয় করেতে আজ তাকে যে সত্যটা বলতে হবে। তারপর..................................................................................................................................................................... গল্পটা কি এভাবেই চলতে থাকবে?
tnx
ReplyDeleteএখানেই কি শেষ
ReplyDelete